Sunday, March 31, 2013

নীরবতা

সেদিন ছিল ২রা ফাল্গুন। তুমি আমাকে বলেছিলে ফিরে আসা কি যায় আরেকবার? আমি হেসেছিলাম শুনে। তোমার কি মনে হয় আমি সেই পুরোনো ছাতিম গাছ?যার নীচে দাড়িয়ে তুমি আমি অনেক সারাদিন কাটাতাম। আচ্ছা বলোতো তোমার কাছে আসলে কিসের বেশি মুল্য ছিল আমি না ছাতিম গাছ না ছাতিম গাছের ফুলের?এই প্রশ্নটাও আমি কখনো করতে পারিনি আমি তোমায় মুখ খুলে।

আসলে আমি এখন সত্যেন বোসের মতো জটিল কোনো গাণিতিক হিসেব নিকেশে ব্যস্ত থাকতে চাই। আর সেই ছাতিম ফুলের মনকাড়া গাঢ় গন্ধের উন্মাদনা তাই মাতাল করে রেখেছে এই আমার আমিকে। যেন ছাতিম গাছের নিচে হেমন্তের এই মধ্য রাতে তোমার ভাস্কর্যের মতো দাঁড়িয়ে থাকা অপার জীবন্ত স্থির চিত্রের সৌন্দর্য এখনো বিহ্বল করে রেখেছে আমায়; আর তাই আমি ভুলেই গেছি এই মুহূর্তের আগের সব মুহূর্তগুলো।

তুমি ডাকবার আগে আমি জীবনের কাছে খুব বেশি কিছুই চাইনি বলে একটা চিঠি পাঠিয়েছিলাম গত সন্ধায়। তুমি ডাকার পর শুরু হলো আমার ছোট্ট নিরবতা। এই নীরবতা এমনি যেমন কোথাও হতে আকস্মিক অপ্রত্যাশিত দুঃসংবাদ পেলে আমরা নিয়ে থাকি।

-অপরিচিত মানবী
০৩/৩১/১৩

খোঁজিনি তোমায়?

আমি অবাক হয়ে আকাশ দেখি
আকাশের প্রশ্ন
তুমি একাই খোঁজে বেড়াও আমায়
আমি কি কখনো খোঁজিনি তোমায়?

-অপরিচিত মানবী

Saturday, March 30, 2013

আমরা দুজন

ভালোলাগার কথা জানিয়ে তুমি লিখেছিলে
-একবার ভালোবেসেই দেখো
আমি বলেছিলাম ভয় হয়
কিসের ভয়?
হারিয়ে যাবার ভয়,
যদি কখনো কোনো মেলায় গিয়ে
হঠাত পাশ ফিরে দেখি তুমি নেই
তোমাকে যদি খুঁজে না পাই আর
তুমি হেসে বললে
-তুমি শুধু একবার এই বিশ্বাসকে ছুঁয়ে দেখো||

বোকা বিশ্বাসে আমার জীবন
আমি আবার হারিয়ে ফেলি
জীবন ছুড়ে দেই আরেকবার তোমার দিকে
বুঝি এ জীবন আমার নয় তোমার
তুমি বললে-দু'হাতে হাতকড়া বেধে দিলাম|
আমি মুচকি হেসে হাত বাড়িয়ে
আরেকবার জড়িয়ে ধরি
তার হাতের শেষ অস্থি||

তেষ্টা নিয়ে দুপুর রোদে হাটতে থাকি
আনন্দ আর জীবন হাটে পাশেপাশে|
আবার শীতের ভোরের রোদে
চারটে পা অবশ হয়ে আসে
আমি যাবো মেলার দিকে-সূর্যের হাত ধরে
সূর্য লুকায় মেঘে
আড়াল থেকে লুকিয়ে বলে,
তুমি কাদা জলের মেয়ে
আমি ভয়ে প্রশ্ন করি- তুমি পারো? এমন পারো?
হঠাৎ দেখি আকাশে জ্বলছে এক তপ্ত রোদ
আমরা দুজন; প্রতিবেশী ছিলাম আমরা
বিশ্বাসের এক ঘর চলে গেছে এপাড়া ছেড়ে
আমি পড়ে থাকি এক কোণে পান্থতীর্থে||

-অপরিচিত মানবী

Friday, March 29, 2013

অপেক্ষার রাত

সময়টা যদি এক জায়গায় থেমে থাকতো
অপেক্ষার রাত হয়তো
আরো ভীষণ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতো||

-অপরিচিত মানবী

Thursday, March 28, 2013

নিঃশ্বাসে আমি নিজে


জানালায় দাড়িয়েই দেখা যায় আকাশ ভর্তি একটা পূর্ণ চাঁদ। পুরোটা আকাশ জুড়ে মেঘেদের সাথে ছোঁয়াছুঁয়ি খেলায় সে মেতে আছে আজ। চাঁদের আলো পড়েছে পথিকের পথের আগে আর পরে। পাশেই জলপুকুরে আলোর বিষ আস্তরণ জলে মিশে গেছে। মনে হয় আজ রাতচাঁদে জোছনা মিশে একাকার হয়ে তোমার নিঃশ্বাস চুরি করবে। আর তোমার সে নিঃশ্বাসে আমি নিজে আবার বেঁচে উঠব।

-অপরিচিত মানবী

মা তুমি ছুঁয়ে দিও

সারাদিন কি সুন্দর ওয়েদার ছিলো আর রাত বিরাতে কেমন টেম্পারেচার ঠাস করে একদম ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমে গেল| সকালে উঠে আইসক্রিমের মিউজিক শুনে ভাবলাম যাক আইসক্রিম খাবো- তাও হলনা কাশির জন্য মা'র অনুরোধের জন্য| ভাবলাম রাতে কিছুক্ষণ বারান্দায় গিয়ে বসবো তাও হলোনা ঠান্ডার জন্য| কাজ থেকে বাসায় ফিরবার পথে বাসের জন্য অপেক্ষা করে করে এখন গায়ে হাত দিয়ে দেখি শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা বেশী| ছোট বোন শুয়ে শুয়ে খেয়াল করছিলো আমি কি করছি| মা কি মনে করে উঠে এসে শরীরে হাত রেখে বললেন ইসস এতো জ্বর!! মা এমন আশ্চর্য ভাবে তাকাচ্ছেন যেন আমি জ্বরকে নিমন্ত্রণ জানিয়েছি| মা খুব যত্ন-আত্তি করছেন| আমার খুব ভালো লাগছে| মা আমাকে বসিয়ে দিয়ে নিজের কাজে যখন চলে গেলেন তখন মনে হলো ডেকে বলি "মা তুমি তোমার হাত দিয়ে একটু ছুয়ে দিলেই আমার আনন্দ অগ্নিতে ঝাপ দিতে ইচ্ছে হয়| তুমি তুমি তুমি মা এই মুহূর্ত ছাড়া কোনদিন ছোবে না আমায়|

 -অপরিচিত মানবী

তোমার জন্য

প্রিয় প্রিয়তম,
বাসে কিংবা ট্রেনে করে কাজে যাওয়ার সময় চারপাশের হাসিখুশি উচ্ছ্বল মানুষগুলো দিকে মাঝে মাঝে নিষ্পলক তাকিয়ে থাকি। হরহর করে একটানা বকে যাওয়া এই মানুষগুলো তাদের ভেতরের আনন্দ বেদনা হতাশা রাগ অনুরাগ- প্রকাশ করার পর তাদের চোখে মুখে তৃপ্তির আর ভারমুক্ত হওয়ার যে আনন্দ খেলে বেড়ায়, তাতে আমার হিংসাও হয় বটে। কী অবলীলায়, তারা তাদের মনের গহীনে জমে ওঠে কথাগুলো উগড়ে দিচ্ছে কিংবা, হয়তো কথাগুলো জমে ওঠার সময়ই পায় না; আমি পারি না। প্রতিদিনের প্রতিটা মুহূর্তের অনুভবে যে না বলা অনুভূতিগুলো একে একে জমা পড়ছে, তা আজো তোমাকে বলা হলো না। বলা হয় না হয়তো, কোনোদিন হবে কিনা তাতেই আজ আমি বড়ো সন্দিহান।

কতশত রাত একলা জানালার ধারে বসে শুধু দূর বাড়ির আবছা অন্ধকার দেখেছি! কিংবা কিছুই দেখি নি- একদৃষ্টিতে বাড়িগুলোর দিকে তাকিয়ে থেকেছি। কখনো কখনো আমার মনের ভেতর খেলে যাওয়া ভাবনা আমিই ধরতে পারি না ঠিকমত, শুধু তার হেঁটে যাওয়ার পদশব্দ শুনতে পাই। তারপর একসময় দূর থেকে দূরে কোন পথ থেকে কোন পথে যে হারিয়ে যায়- অধরা সেই বোধটাকে খুঁজে পাই না। অথচ, না বলা ভাবনা কথাগুলো তোমাকে না বলতে পারার বেদনায় আমি ভেতরে ভেতরে নীল হয়ে যাই।

অথচ, এযেন আমার এক জীবন দন্ডিত অনিবার্য শাস্তি, যে শাস্তি, আমাকে বাধ্য করে তাকে সঙ্গে করে নিয়ে বয়ে বেড়াতে। যেখানেই যাই- আমাকে এই শাস্তি বয়ে বেড়াতে হয়। মেঘলা আকাশের দিকে মাঝে মাঝে মাঝ রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে স্থির হয়ে তাকিয়ে থাকি, তন্ময় হয়ে খুঁজতে থাকি মেঘের তলে হারিয়ে যাওয়া চাঁদটাকে। নাহ, খুঁজে পাই না। যেন, ঠিক আমার মতই মনের কথা কাউকে বলতে না পেরে লজ্জায় বেদনায় মেঘের আঁচলে মুখ লুকিয়ে আছে। তার অপরূপ জোছনা মেঘের শাড়ির বুকেই আছড়ে পড়ে, আমি খুঁজে পাই না। আমার সমব্যথী পেয়ে সারা রাত লুকিয়ে থাকা চাঁদটার সাথে গল্প করে যাই। চাঁদ হয়তো শোনে, হয়তো শোনে না- কিংবা আমি ভুলেই যাই চাঁদেরও তো ঘুম যাওয়ার প্রয়োজন আছে! তবুও আমি বলে যাই। তোমাকে তো বলতে পারি না।

আমি আজো আমার না বলা কথাগুলো নিজের ভেতর বয়ে বেড়াচ্ছি। বয়ে বেড়াতে বেড়াতে ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে গেছি। একদিন হয়তো জলার ধারে যাব একা একা, গিয়ে জলের উপর পড়া আমার কাঁপা কাঁপা প্রতিচ্ছবিকেই সঙ্গী করে বলে যাব তোমাকে না বলতে পারা আমার সমস্ত কথাগুলো... নাহলে মনের গহীনে গুমড়ে বেড়ানো ভাবনাগুলো কথা হয়ে মুখ ফুটে বেরোবার জন্য যে রক্তাক্ত যুদ্ধ করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত, তা আমাকে তিলে তিলে মেরে ফেলছে। নাহয় একদিন সেই জলের কাছে কথাগুলো বিসর্জন দেবার পর আমি আমাকেও বিসর্জন দিলাম; মন্দ নয় ব্যাপারটা মোটেও- তবুও আমি মুক্তি চাই।

ইতি-
তোমার তোমারি।
-অপরিচিত মানবী

তোমার সঙ্গে যাবো

শুধু একবার আমাকে এক ঝলক আলো দাও
এক নদী জোছনা দাও
স্বপ্ন দাও এক মুঠো
আর সোনামুখী সুঁইয়ের প্রান্তে
গেঁথে দাও রূপোলী সুতো
আমি তোমার সঙ্গে যাবো
পাড়ি দিব অথৈ নদী
হবো না কখনো ভীত
সোনামুখী সুঁইয়ের প্রান্তে
গাঁথো যদি ভালোবাসার সুতো|
 

-অপরিচিত মানবী

বিস্বাদ আর অপেক্ষা

চারিদিকে খুশির বন্যা তবুও বেহায়া চোখ দুটো পুড়ে| ব্যথার আগুনে পুড়ে কষ্ট গুলো আকাশে হেলান দিয়ে হাসছে| জীবনের শেষপ্রান্তে ঘুম পাড়ানী গান ভেসে আসছে শেষরাতের চিমনি থেকে| এক একদিনের নির্বাসন কত নির্জন কত অন্ধকার কত বিস্বাদ আর অপেক্ষার সময়| পুরো বাড়ি হিংসার লাভায় গলে যাচ্ছে আর আমার ঘরে রক্ত ঝরছে| দেয়ালগুলো মিলিয়ে গেছে বিষাদের ছায়ায়|ছাদের রেলিংগুলোতে কোন স্বপ্ন নেই আজ| ঘরের প্রতিটা মানুষের চেহারা লম্বাটে পাংশু হয়ে আছে| একসময় নরম বাতাসে ভর করে আকাশ থেকে সন্ধ্যা নেমে আসে| আমিও নেমে আসি রাস্তায়| খোলা আকাশের তারাভরা সড়কের শেষ খুঁজে পাইনা আমি| কোনো এক বাড়ির জানালার কাঁচে ঘোলা দু'টো চোখ| হঠাত মনে হলো সব কিছুর পেছনে অপেক্ষা করছে এক অচেনা মানুষ।
 

-অপরিচিত মানবী

পথ চেয়ে বসে আছি

পথ চেয়ে বসে আছি
তোমার ঘুম ভাঙ্গবে বলে
অপেক্ষার প্রহর গুনছি
তুমি উঠবে বলে।|

তুমি জাগবে বলে
আকাশও আজ জড়িয়েছে গায়ে নীল শাড়ি
তুমি জাগবে বলে
পাখি গুলোও দিচ্ছে আজ দূর আকাশটা পাড়ি||

তুমি আসবে বলে
দক্ষিনা বাতাস বইছে আজ
তুমি আসবে বলে
শুভ্র চাদের হাটে হাজার তারার রুপালী সাজ||

-অপরিচিত মানবী

তোমায় ভালোবাসি

তোমায় ভালোবাসি শুধু এটুকুই বার আমি বলিনি, বলেছিলাম
আমার ধমনীতে মিশে থাকো সিক্ততার ঘ্রাণ নিয়ে
হৃদয়ের ক্যানভাসে উচ্ছ্বাসিত হয়ে ঢেউয়েদের প্রাণ দিও|
শরীরের সাথে নিঃশ্বাসের যে সম্পর্ক,
ঠিক ওভাবেই আমায়ও তুমি মনে করো||

তোমায় ভালোবাসি শুধু এটুকুই বার আমি বলিনি, বলেছিলাম
আমার প্রতিটা দীর্ঘশ্বাসের ভাঁজে নীল বেদনায়
কত জ্বালিয়েছি দুখের প্রদীপ অনূভুতির মলিন ধুলোর বৃথা কামনায়।
স্বপ্নের আঙিনায় স্মৃতির পাখীরা করে কোলাহল
শুদ্ধ আলিঙ্গনে মনের আঁধার ঘুচিয়ে দিও অবিচল|।

তোমায় ভালোবাসি শুধু এটুকুই বার আমি বলিনি, বলেছিলাম
অনন্তকাল ধরে রব দুজনে পাশাপাশি অন্য ভুবনে ।
এক জনম থেকে আরেক জনমে অনন্তের পথে,
হারালেও বার বার আমার জন্ম হবে পুনঃজন্ম
শুধু শুধুমাত্র তোমাকে পাবার জন্য।|

তোমায় ভালোবাসি শুধু এটুকুই বার আমি বলিনি, বলেছিলাম
তুমি ছিলে আমার আছ আমার এবং আজীবন থাকবে একান্ত আমার মনের গহীনে|
 

-অপরিচিত মানবী

ভোরের স্নিগ্ধ আলোয়

কথার অমিলে বৃক্ষরাই অক্ষর লিখেছে হাওয়ায়| অভিযাত্রায় থাকে নগ্ন সারাবেলা| পথভোলা একটুকর মেঘের হয় বিজয়| তাই আমার কোনো অনুতাপ নেই, আর নেই কোনো নরমাংসের ঋণ গ্রহণ করার অধিকার| শুধু পড়ে আছে গতদিনের কিছু কবিতা| হয়ত তুমি পাবে কোনো পৌরনিক দান| আমি ভেবেছিলাম সূর্যালোকে তোমার রোদ মাখা চিবুকে রাখব চোখ ভোরের স্নিগ্ধ আলোয়| জানি সে আর হয়ে উঠবেনা| হয়তো একদিন আমি হারিয়ে যাবো থাকবোনা আর তোমার ঐ দু'চোখে, তুমিও পথপানে চেয়ে চেয়ে কাটাবেনা বেলা আর আমি বুকে ঝাঁপিয়ে ফুঁফে ফুঁফে কাঁদবনা| কৃষ্ণচূড়া তলে বসে বারবার তুমি ঘড়ির ডায়ালে কুঞ্চিত চোখ ফেলবেনা| নক্ষত্রের রুপালী কোন এক জোত্চ্না ভরা রাতে আমি আসবো, জোত্চ্নালোকে ভর করে তোমার শরীরের প্রতিটি জায়গায় ভালবাসার পরশ দিয়ে স্মৃতির গায়ে একটু খোঁচা দিতে| প্রাত:সমীরণে আমি আবার একদিন আসব তোমার ঘুমন্ত ললাটে চুমু দিতে, তারপর আমি বাতাসে বাতাসে ছড়িয়ে আন্দোলিত হবো বার বার তোমার মনে।
 

-অপরিচিত মানবী

অপেক্ষায় থাকবে মিলনের

যেদিন তুমি বুঝবে কতোটা ভালবাসি তোমায় সেদিন শুধু খুঁজে ফিরবে একটি যাদু অথবা দেয়াশলাই বাক্স অথবা অপেক্ষায় থাকবে মিলনের, আঙ্গুলে ছন্দিত পেষনের।
 

-অপরিচিত মানবী

Wednesday, March 27, 2013

ভালোবাসি অন্ধকার

আমি নির্জনতা আর অন্ধকার খুব ভালোবাসি,
সেই আধাঁরে হারিয়ে যাওয়া যায় অদূরে
যতদূর যেতে ইচ্ছে হয়।।
 

-অপরিচিত মানবী

একাকীত্বে খুব

বৃষ্টির ফোটায় তোমার চোখ দু’টি ছুঁয়ে শুদ্ধ হয়েছে আমার প্রেম| এতদিনেও তোমায় বদলাতে পারিনি আমি কিছু স্থির বিন্যাসে| মাঝে মাঝেই নিশ্চুপ মাঝরাতে চুপি চুপি বলে যায় স্নিগ্ধ বাতাস-আজীবন ভালবাসব তোমায় আমার ভীষণ একাকীত্বে খুব গোপনে।
 

-অপরিচিত মানবী

খুঁজে ফিরি তোমাকে

আমি জানি তুমি এইখানেই কোথাও আমা হতে অনেক দুরে বসে আছ
আমার শুধু তুমি ছাড়া আর কিছুই নেই
এখনো তুমি অনেক দুরে
আর আমি একা বসে তারাময় পৃথিবীর ঐ চাদটার সাথে একলা বসে কথা বলি|
আর খুঁজে ফিরি তোমাকে||
 

-অপরিচিত মানবী

তোমার হাত দুটি

জীবনের গচ্ছিত কিছু শান্তির সঙ্গে এখনো কারো মর্ম স্পর্শ করতে পারিনি| পাখি হয়ে কারো নীড়ে আজও বাসা বাধতে পারলাম না| হাতে হাত রেখে একসাথে পথও চলা হলো না| জানিনা কবে পরন্ত কোনো বিকালের রক্তিম আলোয় পারবো তোমার হাত দুটি ছুয়ে দিতে, অথবা শরত হেমন্ত কাটবে কবে বলো একসাথে|
 

-অপরিচিত মানবী

খুবই সহজে কিন্তু কঠিন

আমরা কাউকে কথা দিয়ে জীবনে জড়িয়ে ফেলি খুবই সহজে কিন্তু কঠিন হচ্ছে সেই কথাটি আমরা কতটুকু ধরে রাখতে পারি| কাউকে কথা দেওয়ার আগে বারবার ভেবে দেখ উচিত কথাটা আমরা কতটুকু রাখতে পারব? মনে রাখতে হবে নদীর মাঝপথে কাউকে ছেড়েনা দিয়ে যদি শুরুতেই বলে দেই যে আপনি নৌকা চালাতে পারেননা তাহলে হয়তো আমদের কারো ভুলে তাকে ডুবে মরতে হবেনা । তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার বা দেওয়ার আগে বারবার ভাবুন তার সাথে জড়িত দায়িত্বগুলো পালন করতে পারব কিনা আমরা| সবসময় খেয়াল রাখতে হবে যে আমার ভুলটা কখনো যেন কারোর চোখের পানির মাঝে বেঁচে না থাকে||
 

-অপরিচিত মানবী

কখনো যদি

কখনো যদি ভালবাসা পাই তাহলে স্মৃতির জানালায় শুন্যতাকে আর খুঁজে ফিরব না|
 

-অপরিচিত মানবী

চুপিসারে

চারিদিকে ফিসফিস আলাপের ছলে নগরীর প্রতিটি জানালায়
এই নিশ্চুপ রাতে, চুপিসারে নেমে এসেছে অভিমানী বিষাদময় এক অন্ধকার ||
 

-অপরিচিত মানবী

আমি আর বৃষ্টি

ঝির ঝির শব্দে একটানা বৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে। চারপাশ নিস্তব্দ| নিশুতি রাত মনে হচ্ছে| মাত্র ১০টা বেজে ২৭ মিনিট| ঝি ঝি পোকার মতই একটানা অবিরাম বেজে চলেছে বৃষ্টির জলতান| বৃষ্টির সাথে মিলে গেছে ঝিঝির ডাক সেই সঙ্গে তার মৌনবিলাস| কোথাও সমাপতনের মতো করে দু'একটা ইটের দেওয়াল ধ্বসে পড়ে,আবার টিনের ছাদে টুপটাপ বৃষ্টির শব্দ এসব কান পেতে শোনা হয়না কতদিন| ঝির ঝির বৃষ্টিতে চুলের পনিতেলের ফাঁকে ফাঁকে আশ্রয় নিয়েছে অলস বৃষ্টির ফোটা, মুছতেও ইচ্ছে হচ্ছে না এখন| বাস পেতেই চড়ে বসলাম| বৃষ্টির ফোটায় যখন জল রং আলো পরে চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে আসে তখনি চলে যাই কোনো অচীন নগরে| যেখানে আমি আর বৃষ্টি বেচে ছিলাম গত কিছু বছর| বন্ধু তোর শহরে যদি এবার বৃষ্টি না হয় আমাকে জানান দিস, রংয়ের হিসাব ভুলে ধার দিয়ে দেবো আমার পনিটেলে জমা থাকা বৃষ্টি্র ফোটাগুলো সেটুকু দিয়ে চালিয়ে নিস তোর মনোবিলাস|
বৃষ্টি তোকে আজ ভীষণ মনে পড়ছে| ক্যামন আছিস তুই?
 

-অপরিচিত মানবী

মুক্ত হাওয়ায়

এখনই বেশ আছি- আমি আজ এক মুক্ত পাখি
উড়ছি অদূরে একাকী নিজের ইচ্ছে ডানায়
খোলা আকাশের মুক্ত হাওয়ায়||
 

-অপরিচিত মানবী

আধ ভাঙ্গা ডানা মেলি

নিজেকে বড্ড অসহায় লাগে আজকাল যখন আর ধূসর মেঠো চেনাপথ ধরে পথিকের পদধ্বনি শুনতে পাইনা|

মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় এক পায়ে পায়চারি করতে থাকা ধূসর বক হয়ে যাই, এক চোখ মেলে
এদিক ওদিক তাকাই, আধ ভাঙ্গা ডানা মেলি|

ভীষণ মন খারাপ হয় যখন ইচ্ছে গুলো ছোট হতে হতে একদম রেশমি সুতোর মত হয়ে পড়ে - বিমুগ্ধ্বের মতো হয়ে পড়া মৌনতার সুতো, যদিও পারি না বুনে নিতে প্রিয় নকশী চাদর|
 

-অপরিচিত মানবী

বুকে জল-ভরা মেঘ

বৃষ্টিরা সব বিদায় নিয়েছে। অজানা মেঠো পথটিও শুকিয়ে গেছে। কাদার বুকে রেখে যাওয়া স্মৃতি চিহ্ন এখনও জানিয়ে দিচ্ছে বগত বর্ষার পদচিন্হের।আকাশের বুকে জল-ভরা মেঘ, আর পাহাড়ের বুকে আশ্রয় পেলেই সে বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়বে আজ রাতে|
 

-অপরিচিত মানবী

আজ আমি নীল

আজ আমি নীল জোছনার জলে ভিজবো আর নীল চাঁদটাকেও পুড়াবো|
 

-অপরিচিত মানবী

আসমান পক্ষী

বহুদুর এক সেগুন গাছের ভাঙ্গা ডালে ঝিমায় বসে আসমান পক্ষী তার। পেছন পানে চায় না সে ফিরে আজ।
 

-অপরিচিত মানবী

পরিচিত রাস্তাগুলো

পরিচিত রাস্তাগুলো আমাকে খুব কাছে ডাকে। সেইসব রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় মনে হয় যেন তারা আমাকে তাদের সঙ্গে ফুটপাতের মাঝে দাড়িয়ে সুখ দুক্ষের সঙ্গী হবার আকুতি করে । আমি শুধু পেছনে হাটছি । যতোই দিন যাচ্ছে মনে হচ্ছে ব্যর্থতার এই বৃত্ত থেকে বুঝি বেরিয়ে আসা সম্ভব নয় কোনভাবেই। আশাবাদী হয়ে উঠার মতো কিছুই তো হচ্ছে না চারপাশে। নিজেকে ভীষণ অসহায় আর অচেনা মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে এটাই ছিল আমার নিয়তি|আমার জীবনের কোনো গল্পই পূর্ণতা পায়না|সব সেই অসমাপ্ত কল্পনায় রয়ে যায়| মন ভালো নেই মন আমার কিছুতেই ভালো হচ্ছেনা আজ| হারিয়ে গেছে সব প্রতিক্ষারা বার বার অপেক্ষিত থেকে।
 

-অপরিচিত মানবী

কোন পথিক নেই

যে পথে আজ আর কোন পথিক নেই সেই পথেই আমি একা নিশ্চুপ পথ হাটি।ব্যস্ততার ঝিঁঝিঁ পোকাটা আর কোন শব্দে মেতে উঠে না, গুটিয়ে নিয়েছে নিজেকে।সবকিছু আজ হঠাৎএকদম জমে গিয়ে বরফ হয়ে আছে। ভোরের শিশিরকনা, গোধুলির ধুপছায়া রাতের শুকতারাটির জ্বলে উঠা অথবা অন্ধকারে জমাট আঁধার আজ সবকিছু মলিন।কোনো কিছুতেই এখন আর অস্থিরতা জাগে না মনে। কোনো কথা এখন আর মনে পড়ছে না; কিছুই আর মনে আসছে না। যা কিছু কখনও হতে পারতো, তার কোনকিছু না হওয়ায় পথিকের চলে যাওয়ার পথে একেবারে চুপচাপ নিশ্চুপ আমি। আসলে একদিন পথিকই হয়তো ভুল পথে পা মাড়িয়ে ছিলো।
 

-অপরিচিত মানবী

এখন শুধু আমার

এখন শুধু আমার
এ অনন্ত জীবন অপেক্ষার প্রহর গোনে
শূন্যতার আগমনে
দূর অন্ধগলির ধোঁয়াটে আন্ধকরে ||
 

-অপরিচিত মানবী

এই মাঝরাতে

পেছনের ঝুল বারান্দায় দাড়িয়ে জোনাক পোকাদের ঝি ঝি ডাক শুনতে পাইনা এখন| কেবল এক তড়িত ব্যথিত পাখির পাখার শব্দেই রাতের নিঃশব্দের ব্যাঘাত যা| আজ এই মাঝরাতে যদি কিছুক্ষণ বৃষ্টি হত ঝুপঝাপ-তবে আমিও হয়ত তখন তোমার হাত দুটো ধরে বারন্দায় বসে টুপটাপ বৃষ্টি দেখতে না পারার কষ্টে ব্যাকুল হতাম একটু।
 

-অপরিচিত মানবী

পুনরায় আমি

আমার এই হাতটিতে সে যখন হাত রাখে, তখনি আমি আমার অতীত ভুলে যাই| এই বর্তমানও আমার কাছে ম্লান হয়ে আসে অদূর ভবিষ্যতকে ভীষন অর্থহীন মনে হয়। আমার চারদিকের পৃথিবীর ব্যস্ততা আমার কাছে বৃথা মনে হয়| নিশ্চল হয়ে বসে থেকেও অনেকটা পথ পাড়ি দিতে থাকি আমি কল্পনায়| বিভাজনের স্বপ্ন করতলে একে অপরের সান্নিধ্যে উষ্ণ হই| সেখানে কোনো প্রেম নেই; অদ্রাব্য এক বোধ মিশে থাকে। তার প্রতিটি স্পর্শ আমাকে পালটে দেয়| সে আমার ভেতরে তুমুল ঝড় বইয়ে দেয় -আমার ভেতরটা লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবার উপক্রম হয়|আমি নিজেকে চিনতে পারি না, আমি আমার চারদিককে নতুন বলে আবিষ্কার করি। একসময় এই ক্লান্ত আমি তাকে সামনে যেতে বলি| সে আমাকে পাশ কাটিয়ে অতিক্রম করে না| যখন সে আমার পিছু পিছু হাঁটে, আমি থামলে সে-ও থেমে যায়| পরাজিত এই আমি একসময় তার কাছে আত্মসমর্পিত হই| তাকে পেছনে রেখে পথ পাড়ি দিতে আমার অস্বস্তি লাগতে থাকে| এক সত্ত্বা বলে মনে করা বোধের কাছে আত্মসমর্পিত হয়ে পুনরায় আমি তার হাত ধরে পাশাপাশি হাঁটতে থাকি অক্লান্ত|
 

-অপরিচিত মানবী

কেন বার বার

আজ কেন বার বার তোমাকে মনে পড়ছে? আমার হাতের রেখা থেকে তোমাকে মুছে দিলাম, মনের আয়না থেকেও তোমাকে সরিয়ে দিলাম তবুও কেন তুমি সারাদিন আমার ভেতর ঘুরে বেড়াচ্ছ? কেন বার বার আজ এই চোখ দুটো ভিজে উঠছে?
 

-অপরিচিত মানবী

আমি,তুমি ও আমরা

আমি,তুমি ও আমরা
আর কিছু একান্ত নির্জনতা
কিছু মিষ্টি প্রহর
সব মিলিয়ে তোমার আমার
গভীর ভালোবাসা|
 

-অপরিচিত মানবী

বৃষ্টি হতে দিও

যদি কখনো মনের আকাশে মেঘ জমে উঠে, তবে বৃষ্টি হতে দিও, দেখো একসময় বৃষ্টি শেষে ঝলমলে রৌদ্র হেসে উঠবে মনের উঠোনে|
 

-অপরিচিত মানবী

আমার অহংকার

আমার অহংকার তার ঈর্ষা আমার সুখ তার হিংসা
সে ছুঁয়ে দেখতে পারে না স্বর্গ নরক
সে চায় ভালোবাসার মুক্তি, মনখারাপের অচীন পথে
আলগা করে দেয় আমার সব ভরসা।।
 

-অপরিচিত মানবী

শুক তারাটি

জোসনার রাতে এখন এই চাঁদখানি যার,
সে আছে যার,আমি শুধুই তার, তুমি তোমার
ভরা পূর্ণিমা রাতে
শুক তারাটি ভাঙ্গা মনে ঝিলিক দেয়া আশার মধ্যরাতে||
 

-অপরিচিত মানবী

রঙিন সুতোর ছবি

শোন প্রিয়তম
তুমি জানো কি
শুধু তুমিই আমার বুকের এফোঁড়-ওফোঁড় বসবাস করো
আমার অনেক যত্নে বোনা নকশী কাঁথার রঙিন-কোমল
তুমি নানান রঙিন সুতোর ছবি!
 

-অপরিচিত মানবী

চন্দ্রাহত পৃথিবী

ভোরের কুয়াশায়, প্রখর দুপুরের রোদের তীব্রতায়, পড়ন্ত বিকেলে পাখিদের কিঁচির মিঁচির ডাকা সন্ধ্যায় চাঁদের আলোয় আলোকিত জোৎস্না রাতে আবার প্রবল বৃষ্টিতে, আজও তোমার অভাব অনুভব করি। গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে যায় শুধু তোমায় মনে করে। খালি পায়ে জুতো গলিয়ে শুকনো পাতাগুলো মাড়িয়ে যেতে থাকি আর ভাবি আমি যেভাবে তোমায় ভাবছি তুমিও কি ভাবছো আমায় নিয়ে ? রাতের গভীরতা আরো বাড়ে, রাতের মায়া ছেড়ে ভোরের আলো বেড়িয়ে আসে, মেঘেদেরও ক্লান্তি এল । আকাশ আবার নীল হল ।আমার দিনগুলো এভাবেই একের পর এক কেটে যায়।

শুধু নিকষ কালো অন্ধকারে ঢেকে রইল আমার চন্দ্রাহত পৃথিবী ।এই যে এই পানকৌড়ির মত আঁধারে ডুবে মনে পড়ল ‍তোমায় এই দোল পূর্ণিমার ভরা জোছনা রাতে।রাতের আকাশে অর্ধচন্দ্র দেখে তাকিয়ে থাকি আমি বহুদিন হয় জেগে উঠে না আর আমার ভেতর আমার আমি । যেখানে রাত জাগে কিছু বিষাক্ত পোকামাকড়দের সঙ্গে এক ডাহুক ঘুম ডানার সঙ্গ বুনে। ঘোর জোছনায় মাখা পাকা ধান ক্ষেতে ভেজা কুয়াশারা লুকোচুরি খেলা, সেখনে আমার পুনঃ জন্মের শবদেহ।
 

-অপরিচিত মানবী

যদি আশার আলো হয়

সমস্ত অনুভূতিগুলো ভেতরে লুকিয়ে রেখেছিলাম অনন্ত পথে।
যে যেখানে যাবার তারা চলে গেছে তাদের আর খোঁজা হবে না কখনো।
সবাই যখন ঘুম শহরে একা একা জাগে তারা তাদের গন্তব্য খুঁজে পায় না। কোথাও যেন কষ্টরা মিছিল করছে। খুব শীঘ্রই জানাবে প্রতিবাদ।
সূর্যটা শহরটি পুড়িয়ে দেবার আগেই ঘরে পৌছতে হবে?
তারা কি ছুঁড়ে দেবে দমকল রোদ?
ধূলোয় মাখা পথে আমি আর সে অজানা পথিক হয়ে হাঁটি। আমাদের পাশাপাশি বাঁশপাতায় দুপুরে মুদ্রিত রোদ চলে।
যখন আমি পথ হয়ে শুয়েছিলাম এইখানে- তখন তোমার অস্তিত্ব ছিল না কোথাও।
আজ আমি তোমার চোখে রঙিন স্বপ্ন হয়ে ভাসি।
যদি আশার আলো হয়।
 

-অপরিচিত মানবী

তুমি ভুলে গেছ

প্রাচীন পুরান এই শহরটিতে আমার পরিচিত কেউ নেই
নিষ্প্রাণ কিছু পাথরের গায়ে হেলান দেয়া নিকষ কালো অন্ধকার
একদম পাশে পড়ে থাকা কিছু নৈঃশব্দ্য
প্রিয়তমের দীর্ঘশ্বাসে
এক নিমিষে ভেঙ্গে পড়া বহু সাধনার সুর
শহরের কোথাও আজ আগুন জ্বলে যাবে।
তুমি ভুলে গেছ হয়ত এই শহরটি তোমার আমার ছিল বহুদিন।
 

-অপরিচিত মানবী

নৈঃশব্দ্যের পরিচয়|

যখন কুয়াশায় জ্যোৎস্নার মত অবোধ্য আলোর ছুটোছুটি
ঠিক তখনি একটি নিদ্রিতা নদী হঠাৎ স্রোতস্বিনী হয়ে উঠল
উন্মুক্ত হলো তার ছন্দ দুয়ার আহ প্রবহণ,
কী যে তীব্রতা তার|

শোনো অতন্দ্রিত,
সেদিন তুমিও ঘুমিয়ে ছিলে
একান্নবর্তী হয়ে ছিলাম আমরা শোক-সুখ ঘরে
- জেগেছিলে
তোমার মাতাল ঘুমের পরে চোখের পাতারা খুলে এসেছিল একসময়|

তোমার ঘুমের গভীরে দেখেছি একহাজার একটি আরব্য রজনী
তখনি ইচ্ছামৃত্যু থেকে জেগেছিলে যেই দিন-
মনে হলো তুমি এক রক্তকরবীর বৃক্ষশরীরে জড়ানো গুল্মলতা|

ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি উষ্ণ শরীর
ঝরে পড়ে একে একে মধুতৃণের পাতায়
তুমি হরিৎ রোশনী মেখে জেগেছিলে
এক নিমিষে মুছে নিয়েছিলে সব নৈঃশব্দ্যের পরিচয়|
 

-অপরিচিত মানবী

অসমাপ্ত গহীন পথ

অদ্ভুত এক হতাশাবোধ ঘিরে বসেছে আজ রাতটাতে, যেদিকেই দেখি হতাশা আর হতাশা| সারারাত জানালার একপাশে বসে নিস্সঙ্গ এক পেঁচার করুন আর্তনাদ শোনা যাচ্ছিল| অনেক দুরে কয়েকটা কলা বাদুর কি অসহ্য যন্ত্রনায় এখান থেকে ওখানে ডানা ঝাপটিয়ে উড়ে বেড়াচ্ছিল| মেঘ ঢাকা আকাশটাতে চাঁদ খুঁজে বেড়াচ্ছিলাম| বিষন্ন মেঘেরা আকাশটা ঘিরে রেখে বিরামহীন ছুটে পালাতে থাকে চাঁদের আলো থেকে| হঠাত মনে প্রশ্ন জাগলো আচ্ছা আজ অমাবস্যা নাকি?

কথাও আজ কোনো জোনাকীদের কানামাছি খেলা চোখেই পড়ল না| নারকেল গাছের পাতা গুলো ছায়াসঙ্গী হয়ে পাহারা দেয় আমার হতাশাদের| দূর হতে মাঝে মাঝে সাগরের গর্জন কানে ভেসে আসে| সাগরটা এত উত্তাল কেন আজ? অস্থির সাগরের পারে ছুটে যেতে মন চায় আমার এই বেইমান মনটার| হতাশাদের ভাসিয়ে দিতে মন চায় জলতরঙ্গের সাথে| তাকিয়ে দেখতে ইচ্ছে হয় প্রতিটা ঢেউয়ের সাথে পাল্লা দিয়ে আমার হতাশাগুলো হারিয়ে যায় কোনো অজানা দ্বীপে; কষ্ট হয়ে বাসা বাধে অন্য কোনো অপরিচিত মানবীর দেহে।

ভোরের আলো জেগে উঠছে| বিবর্তিত নতুন প্রানের পরিবর্তে সেই পুরাতন ব্যথিত মেঘ আকাশটাকে এখন অবধি ঘিরে রেখেছে| হতাশারা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে নতুন কিছু আলোয় নতুন উদ্দীপনায়| হতাশাদের হাত থেকে মুক্তি পেতে বেছে নেই একটা অসমাপ্ত গহীন পথ| সেই পথে আমি অন্তহীন হেঁটে বেড়ালেই ক্ষনিকের মুক্তি আসে আমার অক্লান্ত দেহে|
 

-অপরিচিত মানবী

শুভ্র ভালবাসা আমাদের

ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে যতই একেকটা দিন অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে ততই তোমার কাছে যাবার ইচ্ছে প্রবল থেকে প্রবলতর হচ্ছে! কেমন শুভ্র ভালবাসা আমাদের|
 

-অপরিচিত মানবী

মিষ্টি এক ভালোলাগা

কেমন যেন মিষ্টি এক ভালোলাগা। আমি আর তুমি এতোকাছে- সেতো প্রতিদিনই।তোমার হাতে হাত রাখিনি আমি মনে ঠিকি মন রেখেছি।আমার ভালোবাসা তোমার কাছে এখনও অপূর্ণ। যে ভালবাসা মানে বুঝেও না বুঝার ভান আর তুমিহীন তুমিময়তায় আচ্ছন্ন আমার সারাটি সোনালী দিন ।
 

-অপরিচিত মানবী

ভালবাসা মরণ

আমি ছুঁতে পাই না সে স্বর্গ নরক,
আমি ফিরে যেতে পারিনা সেই অর্ধেক মানবদেহে
আমি অদৃশ্য হয়ে বেড়াই, খুঁজে বেড়াই সেই তোমাকে
যে কখনো ভালোবাসার আকার ধারন করতে চাইতে না,
যে শুধু ভালবাসার পথে মুক্তি খুঁজে ফিরতে
শুধু বলে বেড়াতে হোক না আমার ভালবাসা মরণ!
আমি অন্ধকারে দুবে যাই
আলোর খোঁজে আমি হলাম আঁধারের তপস্বীনি,
আমরন সুখের খোঁজে তুমি অমৃত চেয়েছিল,
সরল সোজা পথ হারিয়ে আমি গরল পথপানে খুঁজেছিলাম সুখ
হায় ভালোবাসা
তুমি আমার হৃদয়ের ঘুমন্ত উষ্ণতা
সেই উষ্ণতা বাড়তে থাকে সময়ের নিয়মে
এমনি অনেক বেহিসাবী খেয়ালে।
 

-অপরিচিত মানবী

মিষ্টি বৃক্ষ শিকড়

তুমি আমাকে দিয়েছিলে মিষ্টি বৃক্ষ শিকড়
মৌচাক থেকে খুঁজে আনা মধু, স্বর্গ থেকে নেয়া সুখ
আর তুমি বিস্মিত হয়ে বলেছে আমাকে
ভালবাসি ভীষণ ভালবাসি তোমায় মানবী
তুমি আমাকে দেখিয়েছ সেই কুহক কুয়ায়
আমাকে অতল দেখে দেখে
ফেলেছ এক দীর্ঘনিশ্বাস
আমি এক গভীর চুমুতে
মিলিয়ে দিয়েছি তোমার সেই বন্য কাতর চোখ!!
 

-অপরিচিত মানবী

মেঘে ভেজা সন্ধ্যা

টুপটাপ বৃষ্টি, মেঘে ভেজা সন্ধ্যা
মেঘ আর বৃষ্টি ঝরে ঝরে পড়ে হাত ধরে হয় বিলীন|
আজ পৃথিবীর সব প্রেম তোমার আমার আমাদের দুজনার মনে
আকাশ ছড়ায়ে আছে সোনালি মেঘের ঘন স্তূপে
চারিদিকে ঝুম বৃষ্টি আর তার সাথে ঝরে পড়ে সামান্য নীরবতা|
 

-অপরিচিত মানবী

একগুচ্ছ কালো গোলাপ

আমার প্রতারিত স্বপ্নের ঘরে একগুচ্ছ কালো গোলাপ| আমি বুঝতেও পারিনি এই কালো গোলাপ গুলোই আমার পূরণ সর্বনাশ হয়ে সারা ঘড়ময় সুভাষ ছড়াচ্ছে| সব গন্ধবিহীন গোলাপ ছিলো| সর্বনাশা স্বপ্নরা হাত ধরে টেনে নিতে চায় সমুদ্রের পাড়ে- আমি বলি যাব না সমুদ্র সে ও তো অশান্ত| আমি স্বপ্নদের তাড়িয়ে দেই ভাবি এর চেয়ে ভালো বেদনার পাহাড় বুকে নিয়ে ঘুমানো|
 

-অপরিচিত মানবী

গন্তব্যের কোন শেষ নেই

সব কিছুরই শেষ আছে| যেমন দিনের পর রাত, সুখের পর দুঃক্ষ,শরতের পর বসন্ত| আমার কোনো শেষ নেই| শুধু শুরুই আছে| আমার বর্ষার পর শরৎ আসে হেমন্তও আসে কিছুরই শেষ হয়না |আরো বলতে পারি আঙ্গুল গুনে গুনে| কারো কারো তো গন্তব্যই থাকে না, অথচ দেখো কী শক্তিই না ধরে শরীরে| আমি পথহারা হই না, তুমি আমার পায়ে চলার পথ আমার গন্তব্যের কোন শেষ নেই|
 

-অপরিচিত মানবী

আগুন রাঙ্গা কৃষ্ণচূড়া

আগুন রাঙ্গা কৃষ্ণচূড়া কেন অভিযোগ কানে তুলো না? আগুনের পরশ দিয়েছ দেহে, রক্ত রাঙ্গা প্রলেপ দিলে না মনে||
 

-অপরিচিত মানবী

বিষাক্ত ছারপোকা

সেই নির্বোধ একটা পোকা কেটে গেছে আমার প্রিয় শীতের সোয়েটার
সেটা পরে আমি আর বাইরে যেতে পারি না| হুহু করে শীত ঢুকে যায় ভিতরে
তবু পোকাটার জন্য আমার মায়া হয়, নাম না জানা বিষাক্ত ছারপোকা|
 

-অপরিচিত মানবী

অমুদ্রিত সেইসব

একবার রূপান্তর করতে শেখো
সন্ধ্যার খুব কাছে চলে এসো,
ইতিহাসের পাতার ভয়ংকর সব
আততায়ীদের মত
তারপর অদৃশ্য হয়ে যেও
রক্তাক্ষর দেখে মানুষ বলতে পারে
অমুদ্রিত সেইসব
‘কবিতা!! কবিতা’!!
 

-অপরিচিত মানবী

রঙের রঙ্গিন ফানুস

নিঃসঙ্গ আকাশের প্রাপ্তির মাঝে ঝুলে আছে শত হতাশা
আর আমার অপ্রাপ্তিরা নানান রঙের রঙ্গিন ফানুস ।
 

-অপরিচিত মানবী

শূন্য অনুভূতি

শূন্যতাকে উপভোগ করতে ভালো লাগে
যখন শূন্যতা উপভোগ করা শেষ হয়ে যায়
তখন আবার আমরা শূন্যতার অনুপস্থিতি অনুভব করি।
কি আজব কি আজব শূন্য অনুভূতি।
 

-অপরিচিত মানবী

একদিন তুমি কাদবে

কোনো একদিন আমি চলে যাবো সেই একদিন তুমি কাদবে আমার স্বপ্নদের তুমি তোমার ব্যর্থতার মাঝে খুঁজে পাবে! তুমি ভালো থেকো আমিও ভালো থাকবো!
 

-অপরিচিত মানবী

গভীর রাতকে

যদি তুমি আমার
এ হাতদুটো ধরে রাখো,
জ্যোত্‍স্নাও সঙ্গ দেবে গভীর রাতকে-
মৌন হবো তুমি আমি
অজস্র জীবনের, প্রিয়তম কথায়
 

-অপরিচিত মানবী

কিছু ছেঁড়া পাতা

কিছু ছেঁড়া পাতা পড়ে থাকে এলোমেলো হয়ে, কিছু বা উড়ে যায় পথে গড়িয়ে!!
 

-অপরিচিত মানবী

মরুভূমির মরীচিকার মত

তুমি হয়ত এক মনে না পরা স্বপ্নের মত| দেখা যায় কিন্তু ধরা যায় না-কিছুটা ছায়ার মত, কিছুটা মেঘ| সাথে সাথে থাকো, আবার হারিয়ে যাও| তুমি এই ভাবেই আমাকে কাছে ডাক| যেন ডাকতে চেয়েও ডাক না ; হাত ছানি দিয়ে লুকিয়ে পরো| ঠিক যেন মরুভূমির মরীচিকার মত|
 

-অপরিচিত মানবী

কাল রোদ্দুর উঠবে আকাশনীলে

আর একটু পরেই বৃষ্টি নামবে, যেমন নেমেছিল গতকাল। তার আগে, তার পরে মাটি ধুয়ে যাবে, গর্ভ হবে তার জন্মের গান ঠোঁটে নিয়ে উড়ে যাবে পাখি। কাল রোদ্দুর উঠবে আকাশনীলে। আমি আলো জ্বালিনি আজ।সমস্ত ঝঞ্ঝার শেষে তুমি আসবে বলে ধুলোর সংসার উড়িয়ে দেয়া হাওয়া হু হু করে বয়ে আসছে সেই কোন পার থেকে।
 

-অপরিচিত মানবী

সব মুখগুলো অচেনা

ক্লান্তিহীন পথ চলা থামেনা
অস্থির জনপদ হেটে চলা অজানায়
মুখোশে মুখোশে সব মুখগুলো অচেনা
সব কিছু কেমন হঠাৎ বদলে যাওয়া
নিয়মের ব্যতিক্রম মুহূর্তদের গলে গলে ঝড়ে পড়া
তারই মাঝে হিমেল বাতাসের
কেমন জানি শোঁ শোঁ করে বয়ে যাওয়া
আবার নিঃশব্দে পুরনো পাখীর আপন ঠিকানায় ফিরে আসা।
 

-অপরিচিত মানবী

আবার আমি জাগবো

তোমার চোখ থেকে ভোর ঝরে পড়লেই আবার আমি জাগবো| সকালের সুর্য জাগাও দেখব|
 

-অপরিচিত মানবী

ভীষণ ভালোবাসবো

তুমি অপেক্ষায় ছিলে কোনো একদিন আমি আসবো বলে! আমি এসেছি তুমি আমায় তোমার করে নিয়ে প্রতীক্ষার অবসান দাও! আমি ভালোবাসবো না- আমি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসবো!

-অপরিচিত মানবী

তোমাকে মনে করি

যখনি আমি তোমার কাছে আসি, শান্তি খুঁজে পাই|
যখনি দুক্ষরা এসে ভর করে, আমি তোমাকে মনে করি
যখনি শুন্যতার ভয় ঘিরে ধরে আমায়, আমি তোমাকে প্রথম মনে করি|
 

-অপরিচিত মানবী

স্বপ্নের লাশ পিঠে নিয়ে

সব ইচ্ছেরা প্রতিদিন আমাকে জড়িয়ে ধরে
জমিয়ে রাখা কিছু স্বপ্নের ফোঁটা
কেবল একটা জীবনের জন্য যথেষ্ট নয়,
যথেষ্ট নয় আমার বেঁচে থাকা, বেঁচে থাকার স্বপ্ন
আমার এত কান্না কোথায় ঢাকবে জীবন?
স্বপ্নদের খুন করেছিলো যে
সেই ঘাতক শাস্তির ভয়ে লুকিয়েছে|
সেইসব স্বপ্নের সাজি
ছড়িয়ে দিলাম উজাড় করে তোমার আঁচল
শেষে তুমিও?
দেখ আজ আমি পথ হেটে যাই তোমারই আঙিনা ধরে,
রোজ রোজ আমার স্বপ্নরা মরে যায়
স্বপ্ন,
সেই সব প্রতিটা স্বপ্ন
যেসব স্বপ্নগুলো এক একটা জীবনের মতো দামি|
সেইসব স্বপ্নদের বাঁচাতে
কতবার কত কোটি নরকের দরজা খুলেছি আমি,
কতবার মাথা নিচু করে পরাজয় স্বীকার করেছি ,
তবু কেন?
কেন তুমি গলা টিপে খুন করো আমার স্বপ্নদের?
আমি জানি
স্বপ্নের লাশ পিঠে নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে জীবন ফুরিয়ে আসে,
আশা এটুকুই
যদি ব্যবহারযোগ্য কিছু ভালোবাসাটাসা পাওয়া যায়
আরো কিছু কিছু স্বপ্নের বিনিময়ে ;
জীবন তো বড় ছোট,তোমার নিষ্ঠুরতার কাছে সে নেহাতই নগন্য,
এতো রক্তে স্নান করেও
সত্যি বলো তো,
হে ঈশ্বর, তোমার শাস্তি হয় না?
 

-অপরিচিত মানবী

যদি পারিস

আমায় কি তুই শান্তি দিবি?
কান্না পেলে অলীক থেকে যদি পারিস
আমার বুকে হাত বুলোবি?

-অপরিচিত মানবী

হাসি মাখা মুখের রঙীন স্বপ্নগুলো

সমস্ত আকাশ থেকে আলো আর হাসি ঝরে পড়ে
রঙীন ইচ্ছেগুলো উড়ে বেড়ায় নিশব্দে দুরপ্রান্তে
ভেসে উঠে দুরে বহু দুরে
আমার প্রিয়র হাসি মাখা মুখের রঙীন স্বপ্নগুলো
যেখানে শুধু তুমি আমি স্বপ্ন আর আমাদের ভালবাসা কাঠবেড়ালিদের সাথে ছুটে বেড়ায়!!

-অপরিচিত মানবী

ভালোবাসার সীলমোহরে

ভালোবাসার সীলমোহরে জড়ানো একটা খাম আজ সকালের ডাকে একলা হেঁটে এলো -ভিতরে পেলাম ফেলে আসা অভিমানের মোড়কে শুকিয়ে যাওয়া একটা লাল গোলাপ, হয়তো কোনদিন তোমার আগের লেখাগুলোর মতই সতেজ ছিল, রাতের পাহারাদারের মতই চিৎকার করে বলতো সব মিথ্যে, সব ঝুট্, মুখোশের আড়ালেই যত মিল|আর কতদিন তুষার ঢাকা তুঁষের আগুন হয়ে জ্বলবে; তোমার সেই কলঙ্কিনী বিরহিনী ব্যাথা?
 

-অপরিচিত মানবী

শুধু তোমার জন্য

শুধু তোমার জন্য ঘটেছে সহস্র খুনীর মৃত্যু, তোমার জন্য হয়েছে হাজার কবিতা, ইতিহাস আর অনুগল্পের জন্ম। আজ তুমি বড্ড অবুঝ হয়ে উঠে ছিলে। গতকাল রাতে আমায় বুঝিয়ে দিলে কি নেশা তোমার প্রেমের-তুমি ধীরে ধীরে আমার ভেতর ঢুকিয়ে দিলে তোমার কাল নেশা। এ নেশা যেন মৃত্যুর নেশা। কতোগুলো বৈশাখেও না মরে বেঁচে থাকা। একটা শান্তির ঘুম আজও আমার একটা অসমাপ্ত ছবি।একটা কথা রাখবে? আর দিও না ওরকম নেশা-তোমার ছোঁয়ায় যদি কখনো বদলে যায় আমার জীবন? তুমিতো দেবতা নও শুধুই আমার প্রেমিক পুরুষ।বাঘবন্ধী নিয়মে বাঁধা এ হাত দুটো ছুঁয়ে যাবে করে দিবো আমি পূর্ণ সমর্পণ। আমার কালো রাত শেষ শুরু হলো নতুন প্রেমের সকাল।
 

-অপরিচিত মানবী

নীরব অপেক্ষাতে

পাখি ,তুই মনখারাপের রাতে
খুচরো চোখের জল পেরিয়ে
নীরব অপেক্ষাতে
আমার জন্য একলা বসে
বৃষ্টি নিয়ে খেলিস!
তোর কিসের এত্ত নালিশ ?
মেঘ -পাহাড়ি শহর আমার কাঁদে
আর লুকিয়ে রাখা নোনতা-জলে ভিজে
তোর-ই জন্য একলা হাঁটি ছাদে||
 

-অপরিচিত মানবী

কেমন আছিস তুই?

প্রিয় ভালবাসা;
কেমন আছিস তুই?
কোন প্রতারকের হাতছানিতে ভুলে যাসনি তো নিজের সত্তাকে ?
জলাঞ্জলি দিস নি তো
মনের গভীরে আদরে মমতায় লালন করে আসা কোমল আবেগ-
ছেঁড়া তুলোর মত নিজেকে ভাসিয়ে দিসনি তো কোন মাতাল হাওয়ায়?
বর্ষার কাঁদাজলে পিছলে পড়িস নি তো
মায়াবি বিভ্রান্তের পিছু ছুটতে গিয়ে?
কী জানি?
কতকাল খোঁজ রাখি না তোর!
যেন কয়েক শত জনম তোকে ছাড়াই পাড়ি দিয়ে আসলাম
এই আমাদের দুঃখের রাজত্বে।
প্রিয় ভালোবাসা,
কষ্টের পিঠে সোয়ার হয়ে আমি যখন এই জীবনের মাঠ ঘাট দিগন্তে ছুটছিতো ছুটছি...
আজ আবার তোর বার্তা সমাচার জানতে
খুব বেশি ইচ্ছে করছে...!!!
 

-অপরিচিত মানবী

জীবনটা বয়েই চলে যাচ্ছে

জীবনটা বয়েই চলে যাচ্ছে তার মতন। তার বহমান ধারাকে যদি পথ বাতলে দিতে না পারি– সে আমাকে কোন ভালো স্থানে নিয়ে যাবে এ আমি বিশ্বাস করিনা। এ জীবনে বহুবার ছেড়ে দিয়ে দেখেছি আমি– কী অনন্ত ধ্বংসের দিকে এগিয়ে গিয়েছি কতবার! প্রাণপনে একটা চেষ্টা করা দরকার। মনের গভীর থেকে!
 

-অপরিচিত মানবী

তুমি ভালো আছো তো?

আমি খুব ভালো আছি তোমাকে হারিয়ে তুমি ভালো আছো তো? আমাকে মনে পড়লে বাহিরে গিয়ে কাকগুলো কে দেখো সেগুলো আমি ছিলাম। ওভাবেই আমি তোমার জন্য প্রতীক্ষা করতাম। ওটাই আমার দোষ ছিলো। তুমি ভালো থেকো আমি ভালো আছি।

-অপরিচিত মানবী

ভালোবাসতে জানিনা

আমি ভালোবাসতে জানি না!
জানলেতো তার কিছুটা আমিও পেতাম
শুনেছি প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি 'সমান ও বিপরীত' প্রতিক্রিয়া আছে
আমি আসলেই ভালোবাসতে জানিনা!!
জানলেতো সমান ভালোবাসা না হোক
একটু ঘৃণা হলেও পেতাম।

-অপরিচিত মানবী

অপঠিত পুস্তক

তুমি আর আমি জোড়বাধা ভালবাসার একটি অপঠিত পুস্তক।

-অপরিচিত মানবী

আমার "দুঃখমানব"

আমার আমরন ভালোবাসা তুমি আমার "দুঃখমানব"।

-অপরিচিত মানবী

তবুও বেঁচে আছি

আমি অনেক ভুল করেছি এই জীবনে। অনেক বার, বহুবার। মাঝে মাঝে মনে হয়, যদি শুধরে নিতে পারতাম আমার সব ভুলগুলো, তা হলে আবার নতুন করে শুরু করতাম এই জীবন।
তবুও বেঁচে আছি। সুন্দর একটা জীবনের স্বপ্ন মরে যায়নি এখনও। শেষ হয়ে যায়নি আশা।
আর এই আশা নিয়েই তো আমরা মানুষরা বেচে থাকি, তাই না?

-অপরিচিত মানবী

Tuesday, March 26, 2013

হয়ত কোনদিন

হয়ত কোনদিন আবার দেখা হবে চলার পথে,
একদিন হঠাৎ করেই থমকে যাবে পথচলা,
অপলক চাহনি রবে শান্ত সুস্থির,
কোন অভিমান নয় রইবো শুধু অপলক চেয়ে।
সময় পিছিয়ে যাবে এক নিমিষেই,
অস্পষ্ট স্মৃতিতে রইবে মলিন কিছু একান্ত সময়,
হৃদয়ের এক কোণে মুচড়ে উঠবে এক ক্ষীণ কষ্ট,
কিছু অপূর্ণ চাওয়া, আর কিছু হাহাকার।
নীরবতা ভেঙ্গে জানতে চাইব “কেমন আছ তুমি?”
“ভালো আছি” বলে চাপা আর্তনাদ উঠবে মনে
স্বল্প সময় হবে যেন বহমান মহাকাল,
ভালো থেকো সারাজীবন- বলে নিবো বিদায় দুজন।
কেউ বলব না আবার দেখা হবে,
দুটি পথ হবে দুজনের অলিখিত বিপরীত মেরু,
আফুরন্ত কথার ভীড়ে পাখিরা থাকবে নির্বাক,
লুকিয়ে মোছা হবে চিকচিকে অশ্রুজল,
জীবনের বেচাকেনা শেষে ক্লান্ত হয়ে পড়ব সেদিন তুমি আমি।

-অপরিচিত মানবী

শুধু একটা মুহুর্তের দরকার

সুখী হবার জন্য শুধু একটা মুহুর্তের দরকার হয়। কিছুটা সময় কষ্টে থাকার পর বা মন খারাপ থাকার পর কেউ যদি একটু আশার কথা শুনায়- মনে হয় ধ্যাত কই মন খারাপ ছিল আসলে কিছু শুনার বা পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলাম।
 

-অপরিচিত মানবী

আমি ভীষণ একেলা

আমার চারপাশে শুধু সম্পর্কের খেলা
তার মাঝেও আমি ভীষণ একেলা ।


-অপরিচিত মানবী

চোখ ভিজে যায় জলে

মনটা বেশী উদাস হলে
বাবা তোমায় মনে পড়লে
চোখ ভিজে যায় জলে জলে।


-অপরিচিত মানবী

Monday, March 25, 2013

শুধু ভালবাসি বলে

নীড়ে ফেরে যে পাখি
শাবকের জঠরের নেভাতে আগুন
জানে একদিন ফাকি দিবে তারা
তবু তার সুখ।

সুখ খুজি আমি,খুজি না কোনো জয়
পৃথিবীর স্পর্শ খুঁজে ফিরি আমি
চাইবো, চাইবো যা মনের তাগিদে
করবো যা, করবো ভালোবেসে
শুধু ভালবাসি ভীষণ বলে।
 

-অপরিচিত মানবী

তুমি পাখি হয়ে এসো উড়ে

ভালবাসায় তুমি যদি পারো আমার অতীতকে পরাজিত করতে
তবে আপত্তি কি তোমার বুকে থাকতে
তোমাকে ভালবাসতে
আমিও তোমাকে ভুলিয়ে দেব
পৃথিবীর সব নোংরা কঠিন পথে পা বারবার রাস্তাগুলো
তুমি শুধু গভীরতা মেখে দিয়ে যাও আমার ঘুমে
আমি তুমি যুগল নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে
পার করে দিব আমাদের প্রেম জীবন।
আমি ভুলে যাব আমার সেই মিথ্যা দিকভ্রান্তি
সাদামাটা আকাশে যার ছিল অবিরাম ছুটাছুটি।
তিনরাস্তার ধুলি পড়া পথে তুমি আমার বিচরণ দেখোনি
দেখনি নিভে যাওয়া সারি সারি সব মোমবাতির শিখাগুলো
আমার শৈশবের সব মরা কাঠগোলাপ গুলো
তুমি পাখি হয়ে এসো উড়ে যাওয়া সব পালক নিয়ে
আমি আবার উঠে দাড়াই আবার গড়ে উঠি অনুবাদের রেখায় ..

-অপরিচিত মানবী

অন্য কোথাও অন্য কোনখানে

যার দুরে থাকার সে তো দুরে থাকবেই। কাছে ডাকার বৃথা চেষ্টা করে লাভ নেই। কারণ তার উপস্থিতি আমার সাথে হবে কিন্তু মন তো পড়ে থাকবে অন্য কোথাও অন্য কোনখানে!!!!!
 

-অপরিচিত মানবী

Sunday, March 24, 2013

অস্পৃশ্য অক্ষর

আমার প্রেমিক সে এক অনন্ত গ্রন্থ
যার সব পাতা আজও অস্পৃশ্য,
বুঝিনি কখনো তার
পাতায় পাতায় ভরা
কোনো অক্ষরের মানে।

কষ্টরা সাপের মত

কষ্টরা সাপের মত আনাচে কানাচে লুকিয়ে থাকে। সুযোগ পেলেই ছোবল মারে।

হতে চাই বিড়াল ছায়ামূর্তি

বিড়াল হতে ইচ্ছে করে। আমি বিড়াল হয়ে অন্ধকারে নিঃশব্দে মনের ঘরের এপাশ ওপাশ ঘুরে বেড়াবো। চমকে উঠে তুমি খুজবে!! কাউকে হয়ত বলবে "কার যেন দীর্ঘশ্বাস আমাকে ছুয়ে গেল।" আমি হতে চাই বিড়াল ছায়ামূর্তি!!

Saturday, March 23, 2013

অদৃশ্য রোদ

উড়ে যাওয়া পাখিটির মনের জানালায় ফুটে আছে কিছু সম্ভাবনার নীল হাওড়া ফুল। আর জানালায় উকি দেয় এক অদৃশ্য রোদ।
 
-অপরিচিত মানবী

ছায়াভ্রম

ভালবাসার ভেতরে বাহিরে অন্তরে গোপন শূন্যস্থানে
সব কিছুতেই এক শূন্য হাহাকার
অন্ধ অতিথি প্রেমের নিভৃত বিভ্রান্তি
যেখানে আমার-এই আমারি কিছু আক্ষরিক ছায়াভ্রম

  
-অপরিচিত মানবী

Friday, March 22, 2013

জোনাকী

অন্ধকারে
স্বপ্নের গোরস্থানে,
তোমার ঘরের পথ দেখালো
একঝাঁক জোনাকী।

এলোমেলো ভাবনা

রংহীন মায়াবী পর্দা ঝুলিয়ে রেখে
সব কটি জানালার শিকে আঙ্গুলের স্পর্শ রেখে
নীরবে চলে যাবো একদিন।
সে কাঁদবে পেছনে জানাশোনা অলিগলিতে
বৃষ্টির রিমঝিম শব্দে ঝড় তুলবে নীলাকাশ।
এখনো আর সময় নেই মনের জানালা খুলে
কোনো অন্ধ দেবতার চরণে
এলোমেলো ভাবনাগুলো ছড়িয়ে দেবার
দুজনে মিলে শ্বেত পায়রাদের দল বেধে উড়ে যাওয়া দেখা।
রংয়ের মানুষ, তুমি আমার বিদায় নেবার আগে
মেখে নাও অন্তরে মুঠো মুঠো প্রেম।
হঠাৎ একদিন চলে যাবো নিতান্ত একা
মুখরিত বাতায়নকে সোনালী সানগ্লাস পরিয়ে
কবিতার পান্ডুলিপিগুলো আর শখের ডেক্সটপটা
এবং অনাদরে থাকবে পড়ে প্রিয়মুখ
তোমরা, তুমি আরো সবাই।

-অপরিচিত মানবী

উড়াল পাখি

আমি এক উড়াল পাখি, আমার উড়বার আকাশ রাজ্যপট অন্যকোথাও অন্যখানে।

বাবা

সেই ছোট্টবেলার স্মৃতিরা যখন
মনে এসে ভর করে
কতো ক্লান্ত প্রহরে কাজে অবসরে
বাবা তোমাকে ভীষণ মনে পড়ে

-অপরিচিত মানবী

Thursday, March 21, 2013

স্মৃতি

তুমি দেখো একদিন ঘূণপোকা কাটবে হৃদয়
আর ভালোলাগা স্মৃতিগুলো হবে বিষময়
তখন আসবে ঝড়, ভাঙবে ঘর,
ফাঁপানো প্রেমের বেলুন দমকা হাওয়ায়
ফেটে যাবে ঠুস।
-অপরিচিত মানবী