কথার অমিলে বৃক্ষরাই অক্ষর লিখেছে হাওয়ায়|
অভিযাত্রায় থাকে নগ্ন সারাবেলা| পথভোলা একটুকর মেঘের হয় বিজয়| তাই আমার
কোনো অনুতাপ নেই, আর নেই কোনো নরমাংসের ঋণ গ্রহণ করার অধিকার| শুধু পড়ে আছে
গতদিনের কিছু কবিতা| হয়ত তুমি পাবে কোনো পৌরনিক দান| আমি ভেবেছিলাম
সূর্যালোকে তোমার রোদ মাখা চিবুকে রাখব চোখ ভোরের স্নিগ্ধ আলোয়| জানি সে আর
হয়ে উঠবেনা| হয়তো একদিন আমি হারিয়ে যাবো থাকবোনা আর তোমার ঐ দু'চোখে,
তুমিও পথপানে চেয়ে চেয়ে কাটাবেনা বেলা আর
আমি বুকে ঝাঁপিয়ে ফুঁফে ফুঁফে কাঁদবনা| কৃষ্ণচূড়া তলে বসে বারবার তুমি ঘড়ির
ডায়ালে কুঞ্চিত চোখ ফেলবেনা| নক্ষত্রের রুপালী কোন এক জোত্চ্না ভরা রাতে
আমি আসবো, জোত্চ্নালোকে ভর করে তোমার শরীরের প্রতিটি জায়গায় ভালবাসার পরশ
দিয়ে স্মৃতির গায়ে একটু খোঁচা দিতে| প্রাত:সমীরণে আমি আবার একদিন আসব
তোমার ঘুমন্ত ললাটে চুমু দিতে, তারপর আমি বাতাসে বাতাসে ছড়িয়ে আন্দোলিত হবো
বার বার তোমার মনে।
-অপরিচিত মানবী
-অপরিচিত মানবী
No comments:
Post a Comment