আমার
মা'কে নিয়ে কিছু লিখতে গেলেই মনে পড়ে সেই ছেলেটির কথা, যে নাকি তার
প্রিয়তমাকে উপহার দেবে বলে মা'র হৃৎপিন্ডটা ছিঁড়ে নিয়ে প্রিয়তমার কাছে
দৌঁড়ে যাচ্ছিলো, হঠাত্ পথে হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলে মা'র হৃৎপিন্ড বলে ওঠে -
"বাবা, ব্যথা পেলি?" প্রিয়তমার কাছে উপহার বেশি কিন্তু মা'র কাছে সব তুচ্ছ
তার সন্তানের তুলনায়।
একবার এক বড় ভাই আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল, 'বল তো, মানুষ ব্যথা পেলে ও-মা বলে চিত্কার দিয়ে ওঠে কেন?' কিছুক্ষণ ভাবার পরও যখন যুত্সই উত্তর দিতে পারলাম না, ভাই উত্তর দিল যে, সেসময় 'মা' ডাকার কারণেই অর্ধেক ব্যথা নাকি কমে যায়। আসলে, বিপদে পড়লে আমাদের মায়ের কথা আগে মনে পড়ে যায় কারণ হচ্ছে, সেই সময় ব্যক্তিটি তার নির্ভরতাকে খুঁজে পেতে চায়। তার বয়স যতই বাড়ুক, বিপদে অস্তিত্ব সংকটে তার শৈশবের সেই পরম নিশ্চিন্তির বুকে মুখ ঢাকতে চায়।
আমার মা থেকে আমি অনেক দূরে থাকি। মা থাকে তার জগতে। তবুও প্রতিদিন কোন এক অবসরে কিংবা একাকিত্ব অথবা উত্সবের ফাঁকে মাকে মনে পড়ে যায়। মায়ের হাতের আদর পেতে ইচ্ছে করে। তার আঁচলের ছায়ায় মুখ লুকাতে মন চায়। কোলে মাথা রেখে নিশ্চিন্ত হতে সাধ জাগে। যে কয়দিন শ্বাস আছে ততোদিন আমার মা আমার নিশ্বাসের সাথে বয়ে বেড়াতে থাকবে।
মা থেকে অনেক দূরে চলে আসার পর যে মানুষটি মায়ের আদর ছায়া স্নেহ নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিয়ে আগলে রেখেছিলেন তিনি লিজা আপু। মাকে যেমন নিশ্বাসের সাথে বয়ে বেড়াচ্ছি, বেড়াব আমৃত্যু; তেমনি এই মহীয়ষী মহিলাকে বয়ে বেড়াব শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ পর্যন্ত। নাহলে, মাতৃহত্যা পাপে মহাপাতকী হয়ে মরতে হবে আমাকে। একজন মানুষ কত রঙে কত ভাবে মমতা স্নেহ দায়িত্বে নিয়ে আবেগ দিয়ে যে ভালোবাসা দিতে পারে, তা এই লিজা আপাকে না দেখলে তাঁর সান্নিধ্যে না আসলে কেউ কল্পনাও করতে পারবে না। মায়ের বিকল্প অন্য কেউ হতে পারে না, কিন্তু আমার এই ধারণা উনি পাল্টিয়ে দিয়েছেন। আজ তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে; আজকের বিশ্ব মা দিবসে তাঁকে খুব মিস করছি। অন্তর থেকে রইল হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা।
মা- তুমি আমার প্রথম ও শেষ ভালবাসা। পৃথিবীতে শুধুমাত্র মমতায় গড়া একমাত্র নির্ভরশীল যে কোল সে শুধু তোমার। তোমার উষ্ণতার পরশে সারাটা জীবন কাটিয়ে দিতে চায় মন। মা তোমাকে ঘিরে জমা আমার সব ভালবাসা, ভালোলাগা আর সব অভিমান। তোমরাই আমার বেঁচে থাকার অন্যতম প্রধান অনুপ্রেরণা। তোমাদের ভালোবাসার ছলে পৃথিবীর সকল মাকে জানাই আন্তরিক ভালোবাসা।
মা, তোমরা ক্ষমা করো ঐসব কৃতঘ্নদের, যারা মায়েদের বৃদ্ধাশ্রম নামক অনাত্মীয় কুঠুরিতে নিক্ষেপ করে আসে।- আমার মা ও মা'কে।
-অপরিচিত মানবী
০৫/১২/১৩
একবার এক বড় ভাই আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল, 'বল তো, মানুষ ব্যথা পেলে ও-মা বলে চিত্কার দিয়ে ওঠে কেন?' কিছুক্ষণ ভাবার পরও যখন যুত্সই উত্তর দিতে পারলাম না, ভাই উত্তর দিল যে, সেসময় 'মা' ডাকার কারণেই অর্ধেক ব্যথা নাকি কমে যায়। আসলে, বিপদে পড়লে আমাদের মায়ের কথা আগে মনে পড়ে যায় কারণ হচ্ছে, সেই সময় ব্যক্তিটি তার নির্ভরতাকে খুঁজে পেতে চায়। তার বয়স যতই বাড়ুক, বিপদে অস্তিত্ব সংকটে তার শৈশবের সেই পরম নিশ্চিন্তির বুকে মুখ ঢাকতে চায়।
আমার মা থেকে আমি অনেক দূরে থাকি। মা থাকে তার জগতে। তবুও প্রতিদিন কোন এক অবসরে কিংবা একাকিত্ব অথবা উত্সবের ফাঁকে মাকে মনে পড়ে যায়। মায়ের হাতের আদর পেতে ইচ্ছে করে। তার আঁচলের ছায়ায় মুখ লুকাতে মন চায়। কোলে মাথা রেখে নিশ্চিন্ত হতে সাধ জাগে। যে কয়দিন শ্বাস আছে ততোদিন আমার মা আমার নিশ্বাসের সাথে বয়ে বেড়াতে থাকবে।
মা থেকে অনেক দূরে চলে আসার পর যে মানুষটি মায়ের আদর ছায়া স্নেহ নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিয়ে আগলে রেখেছিলেন তিনি লিজা আপু। মাকে যেমন নিশ্বাসের সাথে বয়ে বেড়াচ্ছি, বেড়াব আমৃত্যু; তেমনি এই মহীয়ষী মহিলাকে বয়ে বেড়াব শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ পর্যন্ত। নাহলে, মাতৃহত্যা পাপে মহাপাতকী হয়ে মরতে হবে আমাকে। একজন মানুষ কত রঙে কত ভাবে মমতা স্নেহ দায়িত্বে নিয়ে আবেগ দিয়ে যে ভালোবাসা দিতে পারে, তা এই লিজা আপাকে না দেখলে তাঁর সান্নিধ্যে না আসলে কেউ কল্পনাও করতে পারবে না। মায়ের বিকল্প অন্য কেউ হতে পারে না, কিন্তু আমার এই ধারণা উনি পাল্টিয়ে দিয়েছেন। আজ তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে; আজকের বিশ্ব মা দিবসে তাঁকে খুব মিস করছি। অন্তর থেকে রইল হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা।
মা- তুমি আমার প্রথম ও শেষ ভালবাসা। পৃথিবীতে শুধুমাত্র মমতায় গড়া একমাত্র নির্ভরশীল যে কোল সে শুধু তোমার। তোমার উষ্ণতার পরশে সারাটা জীবন কাটিয়ে দিতে চায় মন। মা তোমাকে ঘিরে জমা আমার সব ভালবাসা, ভালোলাগা আর সব অভিমান। তোমরাই আমার বেঁচে থাকার অন্যতম প্রধান অনুপ্রেরণা। তোমাদের ভালোবাসার ছলে পৃথিবীর সকল মাকে জানাই আন্তরিক ভালোবাসা।
মা, তোমরা ক্ষমা করো ঐসব কৃতঘ্নদের, যারা মায়েদের বৃদ্ধাশ্রম নামক অনাত্মীয় কুঠুরিতে নিক্ষেপ করে আসে।- আমার মা ও মা'কে।
-অপরিচিত মানবী
০৫/১২/১৩
No comments:
Post a Comment